সেমেস্টারের শেষ দিন ছিল। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তানিয়া আর আরিয়ানের সিদ্ধান্ত—আজ একসাথে কিছু সময় কাটাবে, একটু দূরে, শহরের কোলাহল থেকে দূরে।
তারা ছোট্ট একটা রিসোর্টে গেল—নরম আলো, শান্ত পরিবেশ, আর একটা কাচের জানালা দিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য।
সেমেস্টারের শেষ দিন ছিল। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তানিয়া আর আরিয়ানের সিদ্ধান্ত—আজ একসাথে কিছু সময় কাটাবে, একটু দূরে, শহরের কোলাহল থেকে দূরে।
তারা ছোট্ট একটা রিসোর্টে গেল—নরম আলো, শান্ত পরিবেশ, আর একটা কাচের জানালা দিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য।
তানিয়া প্রথমে একটু লজ্জা পাচ্ছিল। কলেজে অনেক মিষ্টি সময় কেটেছে তাদের, কিন্তু আজ অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। আরিয়ান জানত, এই সময়টা শুধু শরীরের না—মনেরও।
সে ধীরে ধীরে তানিয়ার হাত ধরল।
"তুই যদি না চাস, আমরা কিছুই করব না। আমি শুধু চাই তোকে অনুভব করতে, একটু গভীরভাবে…"
তানিয়ার চোখে জল চলে এল।
"তুই জানিস না, তুই জড়িয়ে ধরলেই আমি নিজেকে নিরাপদ ভাবি। আমি প্রস্তুত, কারণ আমি তোকে বিশ্বাস করি।"
বাতাস থেমে গিয়েছিল যেন। আরিয়ান আস্তে করে তানিয়ার কপালে চুমু খেল। তারপর চোখে… তারপর গালে… ধীরে ধীরে দু’জন একে অপরের বাহুতে নিজেকে হারিয়ে ফেলল।
কোনো তাড়াহুড়ো ছিল না, কোনো জোর ছিল না—ছিল ভালোবাসা, নরম ছোঁয়া, মুগ্ধতা।
সেই রাতটা ছিল শুধু তাদের…
একটা রাত, যেখানে শরীর ছিল না একমাত্র ভাষা—ছিল মনের সংযোগ, আত্মার বন্ধন।
ভোরে তানিয়া বলল,
"আমরা কিছু ভুল করিনি, তাই তো?"
আরিয়ান হেসে জবাব দিল,
"আমরা শুধু আমাদের ভালোবাসাকে একটা নতুন জায়গায় নিয়ে গিয়েছি… চিরকালের জন্য।"
0 Comments